ঢাকা, বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
স্বাস্থ্য উপকারিতায় পেঁয়াজ

স্বাস্থ্য উপকারিতায় পেঁয়াজও কম যায়না।

Desk | আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৮:০৮
স্বাস্থ্য উপকারিতায় পেঁয়াজও কম যায়না।

দৈনন্দিন জীবনে পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। মানবসভ্যতার ইতিহাসের আদিযুগ থেকেই পিঁয়াজের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব খানের সমাজেই বিভিন্ন রান্নায় পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে কাচা , জমানো, আচার , চূর্ণ, কুঁচি, ভাজা, এবং শুকনো করা পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়।  রান্নার কাজে ছাড়াও আরও অনেক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় পেঁয়াজ। যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পেঁয়াজ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোষের ডিএনএ কে ক্ষতির থেকে বাঁচিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ব্রেন, কোলোন এবং ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়ায় যদি প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া যায়। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশকিছু উপাদান শরীরের অন্দরে ক্যান্সার কোষের জন্ম হতে দেয় না। ফলে এমন ধরনের মরণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। পেঁয়াজের রস বিষাক্ত নয় এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই যত খুশি তত খেলেও কোনো সমস্যা নেই। এছাড়াও পেঁয়াজের রয়েছে আরোও অনেক গুন আসুন আজকের লেখাতে আপনাদের সেই গুন গুলোও জানিয়ে দেয়া যাক।

১। মুখের গন্ধ দূর করে
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ গহ্বরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে মাড়িতে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

২। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে একদিকে যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এভাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা বলে পেঁয়াজ আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৩। ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ২১ শতকের সব থেকে ভয়ঙ্কর এই রোগকে দাবিয়ে রাখতে পেঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগই থাকে না

৪। জ্বরের প্রকোপ কমায়
ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং ২টা রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে ঘুমাতে যান। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।

৫। ইনসোমনিয়া মতো রোগের প্রকোপ কমায়
আপনি কি রাতের তারা? ঘড়ির কাঁটা সকালের দিকে এগিয়ে গেলেও চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে তো প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁয়াজের থাকা চাইই চাই। কারণ ইনসোমনিয়ার মতো রোগের উপশমে এই সবজিটি দারুণ কাজে আসে।

৬। স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটায়
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৭। কাশির প্রকোপ কমায়
একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিনে কম করে দুইবার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে।

তাহলে জেনে গেলেন তো শুধু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় তা নয় আরোও কত রোগ প্রতিরোধ করে পেঁয়াজ তাহলে আর দেরি কেনো প্রতিদিন খাবারে পেঁয়াজ রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।

উপরে