ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
লংকাজবা

লংকাজবা

Desk | আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০১৯ ১৩:২৯
লংকাজবা

লংকাজবার বৈজ্ঞানিক নাম Malvaviscus arboreus। এটি Malvaceae পরিবারের অন্তর্গত। লংকাজবা ঝোপালো জাতীয় বৃক্ষ। লংকাজবা গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার লম্বা হয়। পাতার রঙ উজ্জ্বল সবুজ ও খাঁজকাটা। ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে লংকা আকৃতির পাপড়ি জড়ানো আকর্ষণীয় লাল রঙের ফুল ফোটে। লংকাজবা ফুল ৫ থেকে ৮ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। ফুলের গর্ভকেশর পাপড়ির সামান্য বাইরে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে লংকাজবা গাছ দেখা যায়। আমাদের দেশের শরৎতের শুরু থেকে হেমন্তের মাঝামাঝি পর্যন্ত লংকাজবা দেখা যায়। এই গাছের ঔষধি গুণাগুণ ও রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। অসাত্ম্য দ্রব্য খেয়ে ফললে যদি বমি করার প্রয়োজন হয়, যেমন অজান্তে মাছি, চুল অথবা এই ধরনের কোন জিনিস পেটে গিয়েছে, এর পরিণতিতে বমির উদ্রেগ হয়, অথচ বমি হচ্ছে না এক্ষেত্রে লংকা জবা ফুল নিয়ে বোঁটার সঙ্গে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে, এই অংশ টাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণমত দিয়ে চটকে শরবত করে  খেলে বমি হয়ে পেট থেকে ওগুলি সব বেরিয়ে যাবে।

২। বেশি পরিমাণে পানি পান করে আবার ঘন ঘন প্রস্রাব করে অথচ ডায়াবেটিস রোগী নয়, এই ক্ষেত্রে লংকা জবা গাছের ছালের রস এক কাপ পানির সাথে চিনিসহ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। দুই এক দিন একটু একটু হয়, আবার সময় হয়ে গিয়েছে আদৌ হয়না আবার হয়তো এক মাস বন্ধ হয়ে থাকলো, এক্ষেত্রে  লংকা জবা ফুলের কুঁড়ি দারুচিনি এক সঙ্গে বেটে শরবত করে কয়েকদিন খেতে হয়। রসের সাথে এক গ্লাস পরিমাণ পানি মিশিয়ে সকালে কিছু খাওয়ার পর ঋতুকালীন সময়ে দিনে একবার করে খেলে মাসিক স্বাভাবিক হয়।

৪। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লংকা জবা ফুল শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধই করে না নিয়মিত এই লংকা জবা ফুল আহারে আমাদের বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর গতি সম্পন্ন করে তুলতে সহয়তা করে। ফলে এই লংকা জবা ফুল একজনকে চিরযৌবন এনে দিতে পারে।

৫। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে এই লংকা জবা ফুল খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। লংকা জবা ফুল হজমেও সহায়তা করে।

উপরে