ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাধাচূড়া

রাধাচূড়া

Desk | আপডেট : ৫ আগস্ট, ২০১৯ ০৯:৪৪
রাধাচূড়া

কৃষ্ণচুড়ার মত দেখতে হলেও হলুদ-লাল মিশ্রণের এই ফুলটির নাম রাধাচূড়া। রাধাচূড়ার আরও অনেক নামের মাঝে রত্নগণ্ডি, সিদ্ধেশ্বর, গুলেটুর নাম গুলো বেশি শোনা যায়। Peacock Flower বা Red Bird of Paradise নামে পরিচিত এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Caesalpinia pulcherrima। বাগানে এবং রাস্তার ধারে শোভাবর্ধনের জন্য গাছটি লাগানো হয় থাকে। গুল্মজাতিও এই গাছটি ১৪/১৫ ফুট উঁচু হয়। দেখতে ভারি সুন্দর। ফল শুঁটির মত। ৩-৪/৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। সারা বছরই ফুল ফোটে। গাছ স্লিম দেহের অধিকারী। গাছের ছালের রঙ ধূসর। পাতায় পত্রদণ্ড, উপপত্রদণ্ড আছে এবং উপপত্রদণ্ডের দু'দিকে দুটি ছোট ছোট পত্রিকা থাকে। ফুল কখনো হলুদ কখনো লাল কখনো বা লাল হলুদের মিশ্রণ। এই গাছের পাতা, ফুল, ছাল মূল সব অংশেই ঔষধিগুণ বিদ্যমান।

রাসায়নিক উপাদানঃ

রাধাচূড়ার ফুলে gallic acid, resin, benzoic acid, tannins, ও লাল রঙ উৎপাদক উপাদান বিদ্যমান। ফলেও প্রচুর tannins রয়েছে।

উপকারিতাঃ

১। রাধাচূড়া গাছের বাকল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে অর্শ রোগ ভালো।

২। রাধাচূড়া গাছের পাতা হালকা গরম করে ফোঁড়ায় লাগালে ফোঁড়া পেকে বেড়িয়ে যায়।

৩। রাধাচূড়ার ফুল নাকে নাকে ধরলে বমি বমি ভাব ভালো হয়।

৪। অনেক দিন ধরে জ্বর থাকলে রাধাচূড়া গাছের পাতা পিষে এই রস হালকা গরম খেলে পুরাতন জ্বরে উপকার পাওয়া যায়।

৫। রাধাচূড়া গাছের পাতা পিষে এই রস খেলে ক্রিমিতে মুত্রাঘাতে উপকার পাওয়া যায়।

৬। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের এই গাছের ছালের মূল সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

সর্তকতাঃ

গর্ভাবস্থায় কোন রোগেই এই গাছের কোন অংশই ব্যাবহার করা উচিৎ নয়।

উপরে